বিবাহ-তালাক রেজিস্ট্রেশন ফি

মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণ হয়ে থাকে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা-২০০৯; এপ্রিল ১০, ২০১১ তারিখে সংশোধন করেছে । অত্র আইনের ১০ বিধি মোতাবেক নিকাহ রেজিস্টার বিবাহ রেজিস্ট্রিকরণের জন্য ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হারে ফি আদায় করতে পারবে।

দেনমোহর ৪ লাখ টাকার অধিক হলে পরবর্তী প্রতি লাখে ১০০ টাকা হারে আদায় করবেন। তবে দেনমোহরের পরিমান যাই হোক না কেন সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ফি পরিবর্তন ও ধার্য করে থাকে।

রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলে নিকাহ রেজিস্ট্রার একটি প্রাপ্তি রশিদ দেবেন। মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের পর নিকাহ রেজিস্ট্রার বাধ্যতামূলকভাবে বর ও কনেপক্ষকে বিয়ের কাবিননামার সত্যায়িত কপি দেবেন।

সে হিসেবে কারো কাবিন যদি পাঁচ লক্ষ টাকা হয়, তার বিয়ের রেজিস্ট্রি ফি কত?

হিসাব: প্রথম চার লক্ষে প্রতি এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হিসেবে আসে পাঁচ হাজার। চার লাখের পরবর্তী এক লাখের জন্য এক শ টাকা।
তাহলে মোট রেজিস্ট্রি ফি হচ্ছে ৫১০০ টাকা।

কারো কাবিন যদি পাঁচ লক্ষ এক টাকা হয়, তার রেজিস্ট্রি ফি কত?

হিসাব: প্রথম চার লক্ষে প্রতি এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হিসেবে ৫ হাজার টাকা।
পরবর্তী এক লাখের জন্য ১০০ টাকা।
এবং বাকি এক টাকা যদিও এক লক্ষ নয় তবে লাখের অংশ বিশেষ হওয়ায় ১০০ টাকা দিতে হবে। ফলে, মোট রেজিস্ট্রি ফি হবে ৫২০০ টাকা।

তালাক নিবন্ধন ফি কত?

মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা ২০০৯-এর ২১ বিধি অনুযায়ী তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি গ্রহণ করতে পারবেন রেজিস্ট্রার। নকল প্রাপ্তি ফি ৫০ টাকা, যাতায়াত বাবদ প্রতি কিলোমিটার ফি ১০ টাকা ও তল্লাশি ফি ১০ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

বিয়ের নিবন্ধন ফি বর কতৃক পরিশোধ করতে হবে এবং তালাকের ক্ষেত্রে যে পক্ষের উদ্যোগে তালাক নিবন্ধন করা হবে সে পক্ষ কতৃক পরিশোধ করতে হবে।

মন্ত্রীর বাণী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল সমৃদ্ধ  আইন ও বিচার বিভাগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পেশাদারিত্বের একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।  সরকারের পরবর্তী ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ বাস্তবায়নেও আইন ও বিচার বিভাগ প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে বিবাহ-তালাক পোর্টাল (https://marriage.gov.bd)। আমি এটা জেনে খুশি যে, এ
(বিস্তারিত দেখুন)
সচিবের বাণী
বিশ্বায়নের এ যুগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মানসম্মত সেবা দ্রুত জনগণের দরজায় পৌঁছানোর জন্য আইন ও বিচার বিভাগ বদ্ধ পরিকর। দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে নতুন শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এম.পি মহোদয়ের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায়  আইন
(বিস্তারিত দেখুন)